ধানমন্ডি থানা (Dhanmondi Police Station)–এর প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মেঘনা আলম (Meghna Alam)। রোববার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম (M A Azharul Islam)–এর আদালতে হাজির হয়ে তিনি দাবি করেন, তাকে গ্রেপ্তার নয়, বরং অপহরণ করা হয়েছিল।
আদালতে জিম্মা আবেদন ও বক্তব্য
আদালতে হাজির হয়ে মেঘনা আলম বলেন, “আমি মডেল নই, আমি পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেপ্তার নয়, বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।” তার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ (Mohsin Reza Palash) ও মহিমা ইসলাম বাঁধন (Mohima Islam Bandhan) আদালতে জিম্মা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
শুনানিতে মেঘনা আরও বলেন, “৯ এপ্রিল আমাকে যেভাবে নেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই আইনি প্রক্রিয়ায় পড়ে না। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। তাই এটিকে গ্রেপ্তার নয়, বরং অপহরণ বলা উচিত।”
আটকের পেছনের ঘটনা
গত ৯ এপ্রিল ঢাকার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ এপ্রিল ভাটারা থানা (Vatara Police Station)–র প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমির (Dewan Samir)–এর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি মামলায় মেঘনার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় এবং ২২ এপ্রিল আরও ৪ দিনের রিমান্ড শেষে ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হলে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ
চাঁদাবাজি মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্যরা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে, পরে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূত (Saudi Ambassador)–এর সঙ্গে মেঘনা আলমের ঘনিষ্ঠতা গণমাধ্যমে আলোচিত হয়।