জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) (National Citizens’ Platform – NCP)–এর যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু (Dr. Mahmuda Mitu) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (Anti-Corruption Commission – ACC)–কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, টাকা দিলে দুদকের ভ্যারিফায়েড পেইজ থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো হবে যে তিনি দুর্নীতিতে জড়িত নন।
ফেসবুক পোস্টে সরাসরি অভিযোগ
২৫ জুন মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ডা. মিতু বলেন, “দুদক হাস্যকর এবং ইমম্যাচিউর প্রেস রিলিজ দিয়েছে। আমাকেও বলছিলো—টাকা দিলে ভ্যারিফাইড পেইজ থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানাবে আমি দুর্নীতি করি নাই।”
তিনি লিখেন, “প্রেস রিলিজে বলেছে উনাদের (দুদক) কেউ জড়িত না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—তারা কীভাবে এত দ্রুত নিশ্চিত হলো তাদের কেউ জড়িত নয়? এটা বলা উচিত ছিল, ‘খতিয়ে দেখা হবে’।”
ঘুষ দাবির অভিযোগ ও তথ্য ফাঁস
ডা. মিতুর দাবি, “আমি ১০০% নিশ্চিত, এসব ফোন কল ও চাঁদাবাজির সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তারা এবং আরও একটি বড় চক্র জড়িত। তারা জড়িত না থাকলে আমার ব্যক্তিগত তথ্য তাদের কাছে থাকার কথা নয়।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দুদকের ফেসবুক পেইজ কে কন্ট্রোল করে? তার তদন্ত হওয়া উচিত।”
‘চোরাবালির মতো’ সংস্থা
পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, “দুদক চোরাবালির মতো জায়গা, যেখানে নাড়াচাড়া করলে আরও গভীর গর্তে পড়তে হয়। এজন্যই সবাই তাদের ভয় পায়।”
মন্তব্য ঘরে আরও সমালোচনা
একটি মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “মজার ব্যাপার হচ্ছে—দুদকে কোনো সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারে না। থানায় এসপির সঙ্গে দেখা করা সহজ, কিন্তু দুদকে না বলা পর্যন্ত ঢোকাই যায় না। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন না।”
প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি দুদকের পক্ষ থেকে একটি প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়—ঘুষ দাবির অভিযোগের সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। ডা. মিতুর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এই রিলিজে তারা ‘দায়মুক্তি’ পাওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।