কণার বিচ্ছেদের খবরে ‘শেয়াল রানি’ মন্তব্যে বিতর্কে জড়ালেন ন্যান্সি

দিলশাদ নাহার কণা (Dilshad Nahar Kona) নিজের ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার পর সংগীতাঙ্গনে শুরু হয় আলোচনা। তবে সেই আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করে আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি (Nazmun Munira Nancy)–র একটি রহস্যময় পোস্ট।

কণার বিচ্ছেদের ঘোষণা

বুধবার রাতে কণা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।” এরপর তিনি জানান, ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে গোলাম মোহাম্মদ ইফতেখার গহিন (Golam Mohammad Iftekhar Gahin)–এর সঙ্গে ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টেনেছেন।

এই পোস্টে কণা ব্যক্তিগত জীবনের যন্ত্রণা প্রকাশ করে ভক্তদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান।

ন্যান্সির ‘শেয়াল রানি’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক

কণার স্ট্যাটাস প্রকাশের প্রায় এক ঘণ্টা পর, রাত ১২টার দিকে ন্যান্সি তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, “জন্ম মৃত্যু বিয়ে বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—বাণীতে শেয়াল রানী।” মাত্র একটি লাইনের এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা।

নেটিজেনদের দাবি, ন্যান্সির মন্তব্যটি কণার পোস্ট থেকে সরাসরি অনুপ্রাণিত এবং “শেয়াল রানি” শব্দটি কণাকে কটাক্ষ করে ব্যবহার করা হয়েছে।

পুরনো প্রেক্ষাপট ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া

এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তীব্র হয়, কারণ ন্যান্সি এর আগেও ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা সে সময় কণার দিকে ইঙ্গিত বলেই মনে করেছিলেন অনেকেই। তখন কণার গাওয়া ‘দুষ্টু কোকিল’ গান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছিল।

এই প্রেক্ষাপট থেকেই অনেকের ধারণা—দুই শিল্পীর মধ্যে ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। যদিও প্রকাশ্যে কখনোই কণা বা ন্যান্সি একে অপরকে নিয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি।

দুই কণ্ঠশিল্পীর ক্যারিয়ার

কণা ২০০০ সাল থেকে সংগীতজগতে সক্রিয়, আর ন্যান্সি অভিষেক করেছেন ২০০৫ সালে। দুজনেই দেশের জনপ্রিয় নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রোতাপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। তাঁদের গাওয়া বহু গান এখনো শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।