সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি (Golam Mawla Rony) বলেছেন, “শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার পতনের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল কিছু ব্যক্তিকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা।”
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন জাতিকে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যারা এ প্রক্রিয়ায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এই পদক্ষেপ যদি সেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নেওয়া হতো, তাহলে এ কে এম নূরুল হুদা (A.K.M. Nurul Huda) সাহেবকে আজ যে পরিস্থিতিতে পড়তে হলো, তা হতো না।”
তিনি আরও বলেন, “উনিও (নূরুল হুদা) আশা করেছিলেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে, কিন্তু তা হয়নি। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, তাদের মাস্টারপ্ল্যানে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না।”
পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গ
গোলাম মাওলা রনি অভিযোগ করেন, “প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশ (Police) কর্মকর্তা, যারা গত ১৫ বছর ধরে জাতিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে, তারা সবাই পালিয়ে গেছে বা আত্মগোপনে আছে। অথচ রাষ্ট্র চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের আটক করা যেতো।”
খায়রুল হক ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য পদক্ষেপ
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক (Khayrul Haque) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি কোথায় আছেন? যদি সেনাবাহিনী (Army) খায়রুল হককে গ্রেফতার করত এবং জাতির সামনে তা উপস্থাপন করত, তাহলে দেশের মানুষ আনন্দে রাস্তায় নেমে আসত। ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখেই যদি সেনাবাহিনী নূরুল হুদাকে গ্রেফতার করত, তাহলে এই মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।”
শিরীন শারমিন চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
শিরীন শারমিন চৌধুরী (Shirin Sharmin Chaudhury) প্রসঙ্গে সাবেক এই এমপি বলেন, “তিনটি সংসদ পরিচালনার পরেও শিরীন শারমিন কোথায়? তাকে আপনি সম্মান দিয়ে রাখবেন, অথচ নূরুল হুদা সাহেব বা হাবিবুল আউয়াল (Habibul Awal) সাহেবকে বিচারের মুখোমুখি করবেন? এটা তো সঠিক নয়। গরুর দুধ খাবেন, সর খাবেন, কিন্তু গরুকে কেটে ফেলবেন—এটা তো চলতে পারে না।”
রনি বলেন, “সবকিছুই এখন এলোমেলো। দায়ীদের বিরুদ্ধে সমানভাবে ব্যবস্থা না নিলে জাতি আরও বিশৃঙ্খলার দিকে যাবে।”