গণ অধিকার পরিষদ (Gono Adhikar Parishad) এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন (Rashed Khan) দাবি করেছেন, নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) এর ৭ মার্চের দেওয়া বক্তব্যের আর কোনো ভিত্তি নেই।
আবারও সক্রিয় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’
আজ শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খাঁন জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Boishomybirodhi Chhatro Andolon) প্লাটফর্ম আবারও “সমন্বয়ক পরিচয়” নিয়ে সক্রিয় হতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, “এই প্লাটফর্মের নেতৃত্বে লাখ লাখ মানুষ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়। কিন্তু গত ৭ মার্চ নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘এই প্লাটফর্ম এখন আর আগের জায়গায় নেই, একটি নতুন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে।’ কিন্তু সদ্য অনুষ্ঠিত কাউন্সিল প্রমাণ করে দিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয় আবারও কার্যকর হয়েছে।”
কাউন্সিলে এনসিপির সম্পৃক্ততা
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, “এই কাউন্সিলে জাতীয় নাগরিক কমিটি (National Citizen’s Committee) (এনসিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত নেতারাও ভোটার ছিলেন। এনসিপির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে প্লাটফর্মটি আবারও সক্রিয় হয়েছে, ফলে নাহিদ ইসলামের ৭ মার্চের বক্তব্য আর টিকে থাকলো না।”
বিতর্ক ও ভবিষ্যৎ আশঙ্কা
পোস্টে রাশেদ খাঁন আরও লেখেন, “ইতোপূর্বে এই প্লাটফর্মের কিছু নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ফলে অনেকেই এই প্লাটফর্মটি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে আবারও এটি চালু করা হয়েছে। এটি যদি সার্বজনীন হতো, তাহলে বিতর্ক কমে যেত। কিন্তু এখন এটি কুক্ষিগত করা হয়েছে, যার ফলে গণঅভ্যুত্থানের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না।”
তিনি সতর্ক করেন, “এই প্লাটফর্মটি যদি বিতর্কিত হয়ে পড়ে, তাহলে এটি আওয়ামী লীগ (Awami League) আমলের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতো ঘৃণার পাত্রে পরিণত হবে। এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয়। বরং নাহিদ ইসলামের অবস্থানেই যদি স্থির থাকা যেতো, তাহলে বিতর্ক এড়ানো যেত।”
নতুন নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গত বুধবার ঢাকার বাংলামোটর (Banglamotor) এর রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। পরে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) সভাপতি, মো. ইনামুল হাসান সাধারণ সম্পাদক, মুঈনুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিনথিয়া জাহীন আয়েশা মুখপাত্র নির্বাচিত হন।
