এনবিআরের অচলাবস্থায় প্রতিদিন ২,৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্য ব্যাহত, সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ দাবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) (National Board of Revenue) কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের ফলে প্রতিদিন ২,৫০০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (Hotel Intercontinental)-এ আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বিজিএমইএ (BGMEA), বিকেএমইএ (BKMEA), বিটিএমএ (BTMA), ডিসিসিআই (DCCI), এমসিসিআই (MCCI), বিসিআই (BCI), বিইএফ (BEF), এবং আইসিসি বাংলাদেশ (ICC Bangladesh)।

দৈনিক আড়াই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ক্ষতির মুখে

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (Mahmud Hasan Khan) জানান, এনবিআরের অচলাবস্থার কারণে দৈনিক আড়াই থেকে ২,৬০০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি ক্ষতির মুখে পড়ছে। এতে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে।

আমদানি-রপ্তানির পণ্য বন্দরে আটকে নষ্ট হচ্ছে

বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (Anwar-Ul-Alam Chowdhury) বলেন, বন্দরে এবং বিমানবন্দরে পণ্য পড়ে থাকার কারণে তা বৃষ্টি ও রোদের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, কোনো শর্ত ছাড়া আন্দোলনকারীদের কাজে যোগ দেওয়া উচিত এবং এই সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে।

“সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে”—নাসিম মঞ্জুর

এমসিসিআই সাবেক সভাপতি নাসিম মঞ্জুর (Nasim Manzur) বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সমস্যার সমাধান টেবিলেই সম্ভব। সবাইকে বসতে হবে, শুনতে হবে এবং কিছু ছাড় দিতে হবে। তবে এনবিআরে সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন।”

চেয়ারম্যান অপসারণে আপত্তি

যৌথভাবে জানানো হয়, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা উচিত নয়। বরং সকল পক্ষের অংশগ্রহণে সমন্বিতভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে।

উপস্থিত বিশিষ্টজন

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান (Mahbubur Rahman), বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ (Shawkat Aziz), এলএফএমইএবি সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর (Syed Nasim Manzur), মেট্রো চেম্বার সভাপতি কামরান টি রহমান (Kamran T Rahman), বিসিএমইএ সভাপতি মঈনুল ইসলাম (Moinul Islam), বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান (Fazle Shamim Ehsan), এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন (Mir Nasir Hossain) এবং ট্রান্সকম লিমিটেডের গ্রুপ সিইও সিমিন রহমান (Simeen Rahman) ও ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান (Abul Kasem Khan)।