আ. লীগ নেতাদের আচরণে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই: গোলাম মাওলা রনি

গোলাম মাওলা রনি (Golam Maula Rony) বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংকট ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের (Awami League) শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি উদ্দীপনাময় চিত্র দেখা যাচ্ছে, যা বাস্তবতা থেকে ভিন্ন।

ঢাকায় ‘টেস্ট কেস’, বিদেশে শোডাউন

তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৩ জুন ঢাকা (Dhaka) শহরে একটি ‘টেস্ট কেস’-এর মতো ঘটনা ঘটে যেখানে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়ে কয়েকজন নারীকে পাঠানো হলে তারা গণপিটুনির শিকার হন। অথচ আন্তর্জাতিক মঞ্চে, বিশেষ করে ইংল্যান্ড (England) ও আমেরিকায় (America), আওয়ামী লীগ একটি বড়সড় শক্তি প্রদর্শন করেছে।

লন্ডনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ফুটেজ দেখে তিনি বলেন, “নেতাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে মনে হয়েছে যেন তাদের জীবনে কোনো সমস্যাই নেই। অথচ দেশের অভ্যন্তরে নানাবিধ সংকট বিরাজমান। বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নেতাদের আচরণে অনুপস্থিত।”

আঞ্চলিক রাজনীতি ও ভারতের ভূমিকায় শঙ্কা ও সম্ভাবনা

ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে উত্তেজনার সময় দিল্লিতে (Delhi) শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) অবস্থান নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল বলে রনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ভারতের কংগ্রেস (Congress) ও তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাধারণত আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানালেও বিহারের (Bihar) কিছু আঞ্চলিক দল শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পক্ষে ছিল। তবে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার ও কংগ্রেস এখনো তাদের ঐতিহাসিক সমর্থন বজায় রেখেছে।

ইরান-ইসরাইল সংঘাত ও ভারতের অর্থনৈতিক ভূমিকা

ইরান-ইসরাইল (Iran-Israel) সংঘাতের সময় ভারত একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, কারণ উভয় দেশেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ রয়েছে। গোলাম মাওলা রনি মনে করেন, যুদ্ধবিরতির পর ভারত যদি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেয়, তবে তা বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তিনি বলেন, “ইরান ও ইসরাইলের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ভারতের শ্রম ও বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”