উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব (Media Personality) আব্দুন নূর তুষার (Abdun Noor Tushar) বলেছেন, একটি অকার্যকর ও ভুলভাবে স্থাপিত স্যাটেলাইট নিয়ে সমালোচনার কারণে তাকে টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়তে হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারের বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং উজবেকিস্তানের জন্য উপযোগী, এবং এটি ব্যবহার করতে গিয়ে দেশের গণমাধ্যম ও জনগণ বিপাকে পড়ছে।
স্যাটেলাইট ইস্যুতে সমালোচনা এবং চাকরি হারানো
আব্দুন নূর তুষার বলেন, “ফালতু স্যাটেলাইট উপরে ছেড়েছে—এটা নিয়ে যখন কথা বলেছি, তখনই আমাকে চ্যানেল ছাড়তে হয়েছে। আমি এমন বহু জায়গায় কথা বলেছি, যেখানে বলার কারণেই টিকতে পারিনি।”
তিনি দাবি করেন, স্যাটেলাইটটির অরবিটের অবস্থান উজবেকিস্তান (Uzbekistan) উপযোগী হওয়ায় বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বাধ্যতামূলকভাবে এটি ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকতে পারছে না।
তিনি বলেন, “এই স্যাটেলাইটটার ফুটপ্রিন্ট উজবেকিস্তানে। অরবিটটাও আমাদের না। এ কারণে আমাদের অ্যান্টেনাগুলো উজবেকিস্তানের দিকে তাক করতে হচ্ছে। পুরো জাতিকে উজবুক বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
তিনি গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “আমি হেলমেট নিয়ে প্রশ্ন করেছি, কিন্তু আমার গণমাধ্যম রাজি ছিল না। আমি একাধিক সাংবাদিককে চিনি যাদের অস্ট্রেলিয়া বা দুবাইতে বাড়ি আছে। কিন্তু এসব নিয়ে কোনো টেলিভিশন রিপোর্ট করছে না।”
তুষার অভিযোগ করেন, অনেক মালিক সাংবাদিকদের যথাযথ বেতন দেন না, কারণ তারা জানেন, সাংবাদিকরা বেতন ছাড়াও কাজ চালিয়ে যাবেন। ফলে গণমাধ্যম তাদের দর্শক ও পাঠকের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
ইভালির প্রসঙ্গ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থান
তুষার বলেন, “ইভালি নিয়ে প্রথম দিকে কোনো টেলিভিশন রিপোর্ট করেনি। যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে তোলপাড় শুরু হলো, তখন গণমাধ্যম নড়েচড়ে বসে। হায় হায় করে বলা শুরু করল, আমরা তো ট্রেন মিস করেছি।”
তিনি মনে করেন, মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর ব্যর্থতার ফলেই এখন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) একটি ‘অনিয়ন্ত্রিত বিকল্প’ হিসেবে গড়ে উঠছে।