জনপ্রিয় উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব (Media Personality) আব্দুন নূর তুষার (Abdun Noor Tushar) লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন ও তা বিমানবন্দরে ধরা পড়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি ফেসবুক স্ট্যাটাসে ৯টি তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন। সোমবার (৩০ জুন) সকালে দেওয়া সেই স্ট্যাটাসে তিনি এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অস্ত্র বহন এবং তার ব্যবহার নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
বন্দুকের পেছনে মন্ত্রী পদমর্যাদার ‘জোর’?
তুষার বলেন, “এবার নতুন একটা যুক্তি এসেছে—আমি নাকি মন্ত্রী পদমর্যাদার বলে বলীয়ান হয়ে বন্দুক কিনেছি। এমনটা লিখেছে তার ফেসবুক অ্যাডমিন।” এরপরই তিনি ধারাবাহিকভাবে ৯টি প্রশ্ন তোলেন।
তুষারের উত্থাপিত ৯টি প্রশ্ন:
- মন্ত্রী পদে গিয়েই কী বন্দুক কেনার টাকা কামিয়েছেন?
- ধরে নিলাম দশ মাসে দশ লাখ টাকা বেতন পেয়েছেন। এই বন্দুকের দাম কত?
- এই বন্দুক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে, কোথায়, কিভাবে শিখেছেন?
- বন্দুক রাখার জন্য কি ভল্ট বা সিন্দুক কিনেছেন? দাম কত?
- রোজ সচিবালয় (Secretariat) বা মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বন্দুক সঙ্গে নিয়ে যান?
- পুরো জাতিকে নিরাপত্তাহীন রেখে নিজের নিরাপত্তা বন্দুক দিয়ে নিশ্চিত করছেন?
- সাধারণ মানুষ লাইসেন্সধারী অস্ত্র জমা রাখলেও আপনি পদাধিকার বলে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছেন কেন?
- গুলি প্রোটোকল অফিসারের হাতে দিলেন কীভাবে? লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সে তো বহন করতে পারে না।
- এই অস্ত্রের প্রকৃতি ও মূল্য কত?
‘বন্দুক বহনের যোগ্য নন তিনি’
তুষার শেষ মন্তব্যে বলেন, “অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরের সিকিউরিটি চেকপোস্টে ধরা পড়া অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তিনি এই বন্দুক পেয়েছেন পদের জোরে। কিন্তু তার এই আচরণ প্রমাণ করে—তিনি এই বন্দুক বহনের যোগ্য নন। তিনি জানেন না, কোথায় বন্দুক নিতে হয় আর কোথায় রেখে যেতে হয়।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে আব্দুন নূর তুষার স্পষ্টভাবে দায়িত্বশীল পদে থেকে অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা ও আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।