বিএনপি (BNP) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) বলেছেন, “সময়টা এখন ভালো যাচ্ছে না, তবে আমি সবসময় আশাবাদী। বয়স অনেক হলেও আমি বিশ্বাস করি, সামনে ভালো সময় আসবে।” তিনি মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা (Dhaka)র বাংলা একাডেমির (Bangla Academy) আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস-২০২৫’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ (The Bangladesh Dialogue)।
প্রজন্মের দূরত্ব ও রাজনৈতিক সমস্যা
মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমানে প্রজন্মের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছে। এই দূরত্ব কমিয়ে আনতে না পারলে রাজনৈতিক সমস্যারও সমাধান সম্ভব নয়। ঢাকার চিন্তা ও ঠাকুরগাঁও (Thakurgaon)য়ের চিন্তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যা দূর করতে হবে। কারণ আমরা যে প্রজন্ম বা শক্তি গড়ে তুলতে চাই, তারা আমাদের দেশকে বদলে দেবে।”
তরুণদের ভূমিকা ও গণতন্ত্রের বিশ্বাস
তিনি তরুণদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “তরুণেরা আমাদের চেয়ে অনেক যোগ্য হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে তারা আরও বড় ভূমিকা রাখবে। যদিও মতবিরোধ থাকবে, তর্ক-বিতর্ক থাকবে, তবুও আমরা লিবারেল ডেমোক্রেসিতে বিশ্বাস করি। আমাদের সবার মত প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত।”
‘মাননীয়’ শব্দ ও স্বৈরাচার প্রসঙ্গ
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘মাননীয়’ শব্দ ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার মনে হয় ‘মাননীয়’ শব্দ থেকেই স্বৈরাচারের জন্ম হয়। আমাদের দেশে কেউ মন্ত্রী হওয়ার পরই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আসে—গাড়ির বহর, স্যালুট, প্রটোকল—এসব তাকে ধীরে ধীরে একনায়কত্বের দিকে ঠেলে দেয়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির (ডিসিডিএস) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন এবং প্রধান মডারেটর অধ্যাপক আকতারুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন টিবিডির পরিচালক সাইফ রুবাব। এছাড়াও বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজ (Dhaka College) এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Dhaka)র অধ্যাপক মোহাম্মাদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, আইনজীবী রাশনা ইমাম, অ্যাডকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম ফারহান চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু এবং টিবিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবায়েত মান্নান রাফি প্রমুখ।