‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জরুরি ৫ নির্দেশনা ঘোষণা

গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে একটি বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ (Palestine Solidarity Movement Bangladesh) নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার রাজধানী ঢাকা (Dhaka) শহরে, শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানটিতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিপুল অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলনের চিত্র উঠে আসছে।

শায়েখ আহমাদুল্লাহ’র জরুরি ৫ দিকনির্দেশনা

এই গণজমায়েতে অংশগ্রহণকারী নাগরিকদের জন্য ৫টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ (Shaykh Ahmadullah)। শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে তিনি এই নির্দেশনাগুলো প্রকাশ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, “সকল শ্রেণী-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই।”

নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ:

  1. **স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব ও দায়বদ্ধতা
    এই কর্মসূচিকে সফল করতে প্রত্যেককে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এটি আমার কর্মসূচি—এই বোধ নিয়েই দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ জরুরি।

  2. পরিচ্ছন্নতা ও প্রস্তুতি:
    যাত্রাপথ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (Suhrawardy Udyan) এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে পানি, ছাতা, মাস্ক ও অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী। জরুরি অবস্থায় উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবক ও মেডিক্যাল টিমের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

  3. শান্তিপূর্ণ আচরণ ও আইনশৃঙ্খলা:
    উত্তেজনা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।

  4. দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা:
    বিক্ষোভে এমন কিছু করা যাবে না যা দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। দলীয় প্রতীক এড়িয়ে কেবল বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা এবং সৃজনশীল ব্যানার-প্ল্যাকার্ড বহনের মাধ্যমে সংহতি জানানো আহ্বান জানানো হয়েছে।

  5. অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান:
    যেসব ব্যক্তি প্রতিবাদের নামে জানমালের ক্ষতি করে, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রতিরোধ করার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।”

এই কর্মসূচি ‘গণজমায়েত’ হিসেবে বাংলাদেশে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন আয়োজক ও বিশ্লেষকরা।