যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা আরও তীব্র
ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও, চীন (China)–এর জন্য বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীনা পণ্যের ওপর তিনি শুল্ক ২১ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও সংকটময় করে তুলেছে।
চীনের প্রতিক্রিয়া: চাপ নয়, আলোচনার আহ্বান
চীনা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে “জোর করে চাপিয়ে দেওয়া” ও “অনৈতিক” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)–তে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে। চীন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা এই বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি চাপ প্রয়োগ করে, তাহলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান ও শঙ্কা
২০২৪ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৩৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র চীনে রপ্তানি করেছে ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এই দুই দেশের শিল্পখাতে চাপ বাড়ছে, ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা জানিয়েছে, যদি এই যুদ্ধ চলতে থাকে, তাহলে দুই দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়বে এবং বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
বিকল্প কৌশল ও জোট
চীন এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) এবং মালয়েশিয়া (Malaysia)–র সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আলোচনা শুরু করেছে। তবে অস্ট্রেলিয়া (Australia) যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী জোটে অংশগ্রহণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
ইউরোপের প্রতিক্রিয়া ও সময়ের দাবি
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন শুল্ক স্থগিত রাখার ঘোষণার পর নিজস্ব পাল্টা পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছে। ইউরোপীয় কমিশনের (European Commission) প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তারা আলোচনার জন্য সময় দিতে চায়, যা সংকট নিরসনে ইতিবাচক বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।