এই সরকারের দায়িত্ব কেবল নির্বাচন আয়োজন করা, বড় সংস্কার নয়: জয়নুল আবদিন ফারুক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) (Bangladesh Nationalist Party – BNP) এবং এর সমমনা রাজনৈতিক জোটসমূহ দীর্ঘদিন ধরে একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক (BNP Chairperson’s Adviser Zainul Abdin Farroque) এক বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান সরকারের কাজ কেবল নির্বাচন আয়োজন করা, বড় কোনো সংস্কার নয়।”

৩১ দফা সংস্কারের প্রেক্ষাপট

তিনি বলেন, “তারেক রহমান (Tarique Rahman) আগেই দেশের সংস্কারের রূপরেখা ‘৩১ দফা’ আকারে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে অনেক বড় সংস্কার রয়েছে, যেগুলো নির্বাচনের পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে। তবে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব ন্যূনতম সংস্কার জরুরি, সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে।”

বর্তমান সরকারের দায়িত্ব ও নির্বাচন প্রসঙ্গ

ফারুক বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র অনুপস্থিত ছিল। দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। এখন যে সরকার ক্ষমতায়, সেটি আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, জনগণের সরকার। এই সরকারের একমাত্র কাজ হবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা—not any major reforms।”

তিনি আরও যোগ করেন, “সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানেই জনগণের সরকার গঠনে বিলম্ব।”

বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ও নির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি

তিনি অভিযোগ করেন, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন—একবার বলেন ডিসেম্বর, আবার বলেন জুলাই। এসব বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমরা চাই স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট রোডম্যাপ।”

সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা

ফারুক জানান, “আগামীকাল (১৬ এপ্রিল) বিএনপির শীর্ষ নেতারা সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সরকারের পক্ষ থেকে এপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, এই বৈঠক থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে পারব।”

‘জনগণের সরকার’ প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে

তিনি বলেন, “তারেক রহমান সাহেব বিদেশে থেকেও আমাদের সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেছেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার। এজন্য দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রয়োজন। বিলম্ব নয়।”