আগামী মাসে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে স্টারলিংক, অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক (Starlink)’র লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রেস উইংয়ের তথ্যমতে, শ্রীলঙ্কার পরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ, যেখানে স্টারলিংক তাদের বৈশ্বিক সেবা চালু করতে যাচ্ছে। মে মাসের মাঝামাঝিতে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেবার বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনা

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব (Fayez Ahmad Tayyab) জানান, স্টারলিংক একটি লোকাল গেটওয়ে ছাড়াই ৯০ দিনের জন্য প্রাথমিক লাইসেন্স পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে এবং ট্যারিফ প্ল্যানের অনুমোদনের জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করবে।

তিনি বলেন, দেশের দুর্গম হাওর, পার্বত্য অঞ্চল এবং উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পটভূমি

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় স্বৈরাচারী সরকারের একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংক নিয়ে আসার দাবি ওঠে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা নিজ উদ্যোগে স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের সাথে যোগাযোগ করেন এবং দ্রুত বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ জানান।

স্টারলিংকের সুবিধা

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবায় লোডশেডিং হলেও সংযোগ বিঘ্নিত হবে না, যা বর্তমানে মোবাইল টাওয়ার ও ফাইবার সংযোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।