জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর ড্রোন নজরদারি ও তথ্য সরবরাহের অভিযোগে সিটিটিসি (CTTC)-এর সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমেদ (Ishtiaq Ahmed)-কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal)।
ড্রোন নজরদারি ও তথ্য পাচারের অভিযোগ
প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান (Abdullah Al Noman) জানান, গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নজরদারি চালাতে ড্রোন ব্যবহার করেন ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি এসব ভিডিও র্যাব (RAB), আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ (Awami League) ক্যাডারদের কাছে সরবরাহ করেন।
গ্রেফতার ও আদালতে হাজির
রোববার (২৭ এপ্রিল), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল ও পুলিশ রাঙামাটি (Rangamati) থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গুরুতর অভিযোগ ও প্রাথমিক স্বীকারোক্তি
প্রসিকিউটর জানান, ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বে থেকেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইশতিয়াক স্বীকার করেছেন যে তিনি তৎকালীন সিটিটিসি প্রধানের সরাসরি নির্দেশে ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ওপর নজরদারি করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশও তিনি পালন করেন।