আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে নিজেরাও ভোট দেয়নি: মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami)–এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল (Md. Nurul Islam Bulbul) বলেছেন, আওয়ামী লীগের (Awami League) প্রহসনের নির্বাচনে তারাই ভোট দেয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি (Dhanmondi) জোনের বিশেষ শিক্ষা বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

“আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পরিবারের বাইরে কেউ ভোট দেয়নি”

তিনি বলেন, “জাতি বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনকে সমর্থন করেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে তাদের নিজেরাও ভোট দেয়নি। ভোট পড়েছে মাত্র ৪-৫%।” তিনি আরও বলেন, এভাবে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে।

“ভোটের অধিকার ফিরে পেতে জনগণই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে”

নূরুল ইসলাম বলেন, “মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে নিতে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়েছে এবং অবশেষে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে।” তিনি এমন একটি নির্বাচনের দাবি জানান যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে এবং ফলাফল হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে যাচাইয়ের দাবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাচাই করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, “এই দাবি শুধু জামায়াতে ইসলামীর নয়—এটি পুরো জাতির দাবি।”

“চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানুষ জামায়াতের দিকে ফিরছে”

তিনি দাবি করেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করব।”

আদর্শিক নেতৃত্বের দাবি

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন সরকার (Jasim Uddin Sarkar), ঢাকা-১০ (Dhaka-10) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী, বলেন: “দ্বীনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন আমাদের পরিবার থেকে শুরু করতে হবে।” তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শিক নেতৃত্ব গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যারা নৈতিকভাবে জনআস্থার যোগ্য।

নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন নুর নবী মানিক

নুর নবী মানিক (Nur Nabi Manik), জামায়াতের ধানমন্ডি জোন পরিচালক ও মহানগর কর্মপরিষদের সদস্য, সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন ধানমন্ডি জোনের সকল থানা আমীর ও সেক্রেটারিরা।