হত্যাচেষ্টা মামলায় মেহের আফরোজ শাওন ও জায়েদ খানসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আলিয়া মাদ্রাসার (Alia Madrasa) শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন (Meher Afroz Shaon) ও অভিনেতা জায়েদ খান (Zayed Khan)সহ মোট ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু (M A Hashem Raju)।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (Dhaka Chief Metropolitan Magistrate Court) শাহবাগ থানার (Shahbagh Police Station) ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার প্রেক্ষাপট ও অভিযোগ

বাদীর দাবি অনুযায়ী, গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র ও জনতার অসহযোগ আন্দোলনের সময় মিছিল চলাকালে শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে পরীবাগে পৌঁছালে মিছিলটি ছাত্রলীগ (Chhatra League) ও যুবলীগ (Jubo League)ের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তখন গুলিতে সাইফুদ্দিন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মামলার বাদী হাশেম রাজু।

সামাজিক মাধ্যমে ‘আলো আসবে’ গ্রুপে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানি

মামলার আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের অনেকেই ‘আওয়ামী সাংস্কৃতিক যোদ্ধা’ পরিচয়ে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর সহিংসতা গ্লোরিফাই করেছেন। তারা ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবে’ গ্রুপে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ছড়িয়েছেন।

অভিযুক্তদের তালিকা

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন: রোকেয়া প্রাচী, চঞ্চল চৌধুরী, রিয়াজ, ফেরদৌস, ভাবনা, সাজু খাদেম, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সোহানা সাবা, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবেদ খান, আলমগীর হোসেন, সন্তোষ শর্মা, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল হক, মুন্নি সাহা, ফরিদা ইয়াসমিন, মিথিলা ফারজানা, মাসুদা ভাট্টি, ফারজানা রুপা এবং আরও অনেকে।

শিক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক জগতেরও বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে মামলার আওতায় আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আখতারুজ্জামান, জাফর ইকবাল, মেসবাহ কামাল, মুনতাসীর মামুন, হারুন-অর-রশীদ, আনোয়ার হোসেন, আবদুল মান্নান, এম ওয়াহিদুজ্জামান, নজরুল ইসলাম এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক নেতারাও মামলার আসামি

মামলায় শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার ভিত্তিতে আদালত শাহবাগ থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর জখম সংক্রান্ত প্রতিবেদনও আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।