জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party)র যুগ্ম আহ্বায়ক ও আলেম শিক্ষক আশরাফ মাহদী আযহারী (Ashraf Mahdi Azhari) বলেছেন, “যিনি শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছিলেন, তিনি হেফাজতে ইসলামীর (Hefazat-e-Islam) নেতা ছিলেন না।”
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে ‘নারীর অধিকার: দৃষ্টি ও ভঙ্গি’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কওমি সনদকে ঘিরে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ
আশরাফ মাহদী আযহারী বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে কওমি মাদ্রাসার সনদকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন, কওমি অঙ্গন তার সঙ্গে আছে।”
তিনি দাবি করেন, ওই সময়ও কওমি অঙ্গনের বড় একটি অংশ বিদ্রোহ করেছিল এবং ‘শোকরানা মাহফিল বর্জন’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
শোকরানা মাহফিল বর্জন ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতা
আশরাফ মাহদী জানান, “আমি নিজেও সেই ক্যাম্পেইনের নেতৃত্বে ছিলাম। এর ফলে আমাদের ওপর নেমে এসেছিল ভয়াবহ জুলুম—জেল, নির্যাতন, নিপীড়ন এমনকি গুম পর্যন্ত।”
তিনি অভিযোগ করেন, পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছরে একাধিকবার এমন রাজনৈতিক নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছেন, যেখানে ইসলামি ঘরানার নেতাদের ব্যবহার করে ভোট টানার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান
আলোচনায় আশরাফ মাহদী আযহারী ইসলামী ঘরানার মানুষদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের প্রহসনের রাজনীতি যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”