আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্ট: ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন’

আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল দেশের রাজনীতি। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক (Facebook) পেজে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।

“আইনি প্রক্রিয়ায় ছাত্ররা রাজি ছিল না”—এই বক্তব্য মিথ্যা বললেন মাহফুজ

মাহফুজ লিখেছেন, “একটি দলের কর্মীরা বলে বেড়াচ্ছেন ছাত্ররা নাকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ায় রাজি ছিল না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংতেই আমি আইসিটি আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম, এবং নাহিদ ও আসিফ আমার পক্ষে ছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “একজন উপদেষ্টা ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের উদাহরণ দিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। আজ সেই উপদেষ্টার পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন সেই দলের কর্মীরা। অথচ, আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চললে তাতে লাভ হবে না।”

“আওয়ামী লীগ বিচারের প্রভিশন আসছে”

মাহফুজ জানান, “দুইজন আইন পেশার উপদেষ্টা (একজন মারা গেছেন) ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা আমাদের যুক্তির পক্ষে ছিলেন। গতকাল বিকালে কথা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত প্রভিশন দ্রুত সংযোজনের আশ্বাস দিয়েছেন এক উপদেষ্টা। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

ঘোষণাপত্র ও রাজনৈতিক সহমর্মিতা প্রসঙ্গে বক্তব্য

তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্র নিয়ে দুই মাস টালবাহানা করেছে একটি দল। আমরা তখনও দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম। এখন তারা সেটাও হতে দেবে না? বরং সব দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঘাড়ে।”

“ছাত্রদের খাটো করবেন না”

মাহফুজ আলম কড়া ভাষায় লেখেন, “আপনারা যদি মনে করেন ছাত্ররা নিজেরা কিছু ঠিক করতে পারে না, তাহলে হয় ছাত্রদের ছোট করে দেখছেন, নয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের অবমূল্যায়নের চেষ্টা করছেন। আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করেই কাজ করেছি এবং উক্ত দলকে সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছি। বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব।”

নেতৃত্ব ও ঐক্যের আহ্বান

পোস্টের শেষে মাহফুজ লিখেছেন, “আমরা উক্ত দল ও তাদের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। আমরা আশা করি, তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ জাতীয় ঐকমত্য গঠনে দেশপ্রেমিক ভূমিকা রাখবেন। দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব চাই—এ প্রজন্মের হতাশার জায়গা তৈরি করবেন না।”