শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য নয়: ত্বকীর বাবা

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী (Rafiur Rabbi) বলেছেন, সেলিনা হায়াৎ আইভি (Selina Hayat Ivy) ও শামীম ওসমান (Shamim Osman) একসঙ্গে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন—এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য।

‘শাপে-নেউলে’ সম্পর্কের উদাহরণ তুলে নিন্দা

এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আইভির গ্রেফতার প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভির সম্পর্ক এমন যে, শামীম ডানে গেলে আইভি বামে যান। এই দুইজনের সম্পর্ক ‘সাপে-নেউলে’-এর মতো। এই বাস্তবতায় তারা একসাথে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন—এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ

রফিউর রাব্বী অভিযোগ করেন, “গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আশ্রয়-প্রশ্রয়ে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জকে নরকে পরিণত করেছেন। আইভি নিজেও এই মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি আইভি যখন প্রতিবাদ করেছিলেন, তখন শামীম ওসমানের লোকজন তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং গুলি চালায়।”

আইভি ছিলেন বাসায়, কোনো পালানোর চেষ্টা করেননি

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনার পর যারা দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস এবং হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে—তাদের কেউ ধরা পড়েনি। বরং তারা সরকারি বাহিনীর সহায়তায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। শামীম ওসমান ও তার পরিবারও পালিয়েছেন। অথচ আইভিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি নিজের বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধেও কোনো ভূমিকা নেননি।”

“আইভির দোষ শুধু এই যে তিনি শেখ হাসিনার দলে ছিলেন”

রাব্বী বলেন, “আইভির সমালোচনা শুধু এই কারণে করা যায় যে, তিনি শেখ হাসিনার দলে ছিলেন। এ কারণেই তিনি আজ প্রতিহিংসার শিকার।”

বিচারহীনতার অবসান চান ত্বকীর বাবা

রফিউর রাব্বী দাবি করেন, “আমরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। বিচারহীনতার অবসান চাই। শেখ হাসিনার গডফাদারতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের অবসান চাই। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (Interim Government) জাতিকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করবে।”

‘সঠিক বিচার হোক, নিরপরাধ হলে মুক্তি দিন’

তিনি আরও বলেন, “যদি আইভি অপরাধী হয়ে থাকেন, তাহলে সঠিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার শাস্তি হোক। আর যদি তিনি নিরপরাধ হন, তাহলে তাকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।”