ডিজিএফআই’র অর্থায়নে ‘ওসমানী সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিস’, নেতৃত্বে সাবেক হাসিনা ঘনিষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা

সেনাবাহিনীর স্পন্সরশিপে একটি নতুন থিঙ্ক ট্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘ওসমানী সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিস’ (Osmani Center for Security Studies)। এই কেন্দ্রের প্রধান করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজকে, যিনি অতীতে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) অধীনে দীর্ঘ সময় পিএসও এবং এএফডি পদে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরও তিনি ডিজিএফআই (DGFI)-এর পে-রোলে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিতর্কিত সামরিক ব্যক্তিত্বদের সম্পৃক্ততা

গত ৮ মে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব এলাকায় মাহফুজ ব্রেকফাস্ট মিটিং করেন দুই প্রাক্তন বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল মামুন খালেদ ও মেজর জেনারেল রেজা নুর-এর সঙ্গে। এদের বিরুদ্ধে আয়নাঘর পরিচালনা, গুম-খুন ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের বরখাস্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

তারা সেনাবাহিনীর ৫ম লং কোর্স থেকে প্রশিক্ষিত এবং বর্তমানে ক্যান্টনমেন্টে মুক্তভাবে চলাফেরা করছেন, যা সামরিক নীতির পরিপন্থী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

থিঙ্ক ট্যাংকে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

এই নতুন থিঙ্ক ট্যাংকে আরও যুক্ত রয়েছেন:
– মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী
– ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব সারোয়ার
– ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল রুশো
– ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ

এছাড়াও, জেনারেল ওয়াকারের ঘনিষ্ঠ এবং বর্তমানে বিতর্কিত অফিসার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে:
– সিজিএস লে. জে. শামীম
– ডিএমআই ব্রি. জে. আজাদ
– এএস ইউ কমান্ডান্ট ব্রি. জে. শামস

বিতর্ক ও সরকারের নিরবতা

পোস্টটিতে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর কিছু বিতর্কিত জেনারেল যেমন—লে. জে. মুজিব, মে. জে. সাইফ, মে. জে. তাবরেজ এবং মে. জে. হামিদ— পালিয়ে গিয়েছেন এবং এখনো তাদের পরিবার সেনানিবাসে বসবাস করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নীরবতা এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনার অনুপস্থিতিকে হতাশাজনক বলা হয়েছে।