বাংলাদেশের মুসলিম তরুণীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত একটি সংঘবদ্ধ হিন্দু চক্র সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন (Elias Hossain)। তিনি দাবি করেন, এই চক্রটি ‘ইসকন’ (ISKCON)–এর নাম ব্যবহার করে মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরে ব্ল্যাকমেইল ও ধর্মান্তরের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
গাজীপুরে গ্রেফতার যুবক, ভয়াবহ অভিযোগ
গাজীপুরের পুবাইল (Pubail, Gazipur) থানা পুলিশ সম্প্রতি এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার নাম ঋত্তিক সাহা (Rittik Saha), যিনি রাজু সাহার ছেলে এবং সাতানীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী তরুণী রোজা অভিযোগ করেন, ঋত্তিক প্রথমে নিজের ধর্ম গোপন করে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরে বিয়ের প্রলোভনে পুবাইলে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তিন মাস “স্বামী-স্ত্রীর” মতো বসবাসে বাধ্য করেন। এ সময় তাকে হিন্দু রীতিনীতি পালন করতে বাধ্য করা হয়—পরানো হয় শাখা-সিঁদুর, পড়ানো হয় হিন্দু নারীর সাজ।
ব্ল্যাকমেইল, নির্যাতন ও গর্ভধারণ
রোজা জানান, ধর্মীয় রীতিতে অংশ না নিলে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক নিপীড়নের পাশাপাশি চলে শারীরিক নির্যাতন। তার পরিবার পাশে না দাঁড়ানোয় সে পরিবারহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে তিনি দুই মাসের গর্ভবতী এবং মামলার মাধ্যমে বিচার দাবি করছেন।
থানার বক্তব্য ও আইনগত ব্যবস্থা
পুবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম (OC Aminul Islam) জানিয়েছেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তদন্ত চলছে।”
ফেসবুকের মাধ্যমে টার্গেটিং, ধর্মীয় মহলের শঙ্কা
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চক্রটি ফেসবুকের মাধ্যমে মুসলিম তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একই কায়দায় একাধিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। ধর্মীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র—যার উদ্দেশ্য সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি ও মুসলিম মেয়েদের ধর্মচ্যুতি ঘটানো।
ইলিয়াস হোসেন তার পোস্টে লেখেন, “অনেকদিন ধরে মুসলিম মেয়েদের সচেতন করতে চেষ্টা করছি। কিন্তু উত্তেজনার কাছে হার মানছি। এবার আর কিছু বললাম না—শুধু বলছি, সচেতন হোন।”