মোহাম্মদপুর (Mohammadpur) এলাকায় গোপনে একটি রাজনৈতিক আস্তানা গড়ে তোলা হয়েছে—যেখানে থেকে পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা ও সংগঠন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ (Awami League)-ঘনিষ্ঠ একটি চক্র। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক (Jahangir Kabir Nanak)-এর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করে ওই আস্তানা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে আস্তানার কার্যক্রম
গোপন এই আস্তানার মূল দায়িত্বে রয়েছেন হাছান মাহমুদ, যিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পলাশ চৌধুরী (Polash Chowdhury)র শ্যালক। তার সঙ্গে রয়েছেন পলাশের দুই ছেলে—যুবলীগ নেতা পিউল এবং ছাত্রলীগ নেতা পাপন। অভিযোগ রয়েছে, তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল, ক্যাম্পেইন ও সহিংসতার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই চক্রটি নানকের তহবিল সহায়তায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। পলাশ চৌধুরী ও তার পরিবার বর্তমানে মোহাম্মদপুর মেট্রোপলিটন হাউজিং এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে এবং প্রতিরাতে বিভিন্ন গোপন বৈঠক করছে।
অস্ত্র মজুত ও মিথ্যা পরিচয়ে চলাফেরা
হাছান মাহমুদের বাসায় দুটি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, তবে আরও অবৈধ অস্ত্র মজুত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা সূত্র। তিনি গাড়িতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের স্টিকার লাগিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চলাফেরা করেন। মধুসিটি (Madhu City) প্রকল্পে তার অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতা
সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোড (Sir Syed Road)-এর একটি প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’-তে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, যা কবি ও মানবাধিকারকর্মী ফরহাদ মজহার (Farhad Mazhar) এবং অর্থনীতিবিদ ফরিদা আখতার (Farida Akhter)-এর পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। এতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের দেশ অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
পুলিশের অবস্থান
এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর (Inamul Haque Sagar) জানান, “গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা শক্ত হাতে দমন করা হবে।”