জাতীয় স্বার্থে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরির আহ্বান সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূইয়ার

সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূইয়া (Former Army Chief Iqbal Karim Bhuiyan) বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর চাপ ও চাহিদার মুখে পড়ে নয়, বরং বাংলাদেশের নিজস্ব প্রয়োজন ও স্বার্থের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী, সুচিন্তিত এবং সাহসী অবস্থান গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।

সোমবার (২ জুন) নিজের ফেসবুক পোস্টে ‘বাংলাদেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে’ শিরোনামে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘জাতীয় স্বার্থকে রাখতে হবে সর্বোচ্চে’

তিনি বলেন, বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার, ভারত, চীন ও আমেরিকার চাওয়া-পাওয়াই যেন আমাদের জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি— বাংলাদেশের জনগণ কী চায় এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কী করণীয়— তা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।

সাবেক সেনাপ্রধান লিখেছেন, “জাতীয় স্বার্থই হওয়া উচিত পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি। অন্য দেশের কৌশল বিশ্লেষণ তখনই অর্থবহ হয় যখন তা আমাদের জাতীয় স্বার্থরক্ষার প্রসঙ্গে বিবেচিত হয়। শুধু বড় শক্তিগুলোর অভিপ্রায় বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিলে আমরা আমাদের অবস্থান ও স্বার্থ হারিয়ে ফেলবো।”

ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ ও পরিকল্পনার আহ্বান

ইকবাল করিম ভূইয়া মনে করেন, এ সময় দেশের নীতিনির্ধারক, রাজনীতিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমকর্মীদের একত্রে ভাবতে হবে— কীভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সীমান্ত নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক স্বার্থ ও কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।

তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আনেন:

  • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোন কৌশল গ্রহণ প্রয়োজন?
  • সীমান্ত, উদ্বাস্তু সমস্যা ও বাণিজ্য নিয়ে করণীয় কী?
  • জনগণের মতামতকে জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কীভাবে যুক্ত করা যায়?

জাতীয় ঐক্যের উপর জোর

পোস্টের শেষে তিনি পুনরায় জোর দেন, “জাতীয় স্বার্থ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষাই হোক আমাদের অগ্রাধিকারের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিবেশী দেশের চাপ যতই থাকুক, আমাদের শক্ত ও সাহসী অবস্থান থাকতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে অন্যরাও আমাদের গুরুত্ব দেবে না।”