১৩ বছরের পুরনো লাঠিপেটার ভিডিও ভাইরাল, ওসি হাসমত আলীকে প্রত্যাহার

১৩ বছর আগের একটি বিক্ষোভে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি লাঠিপেটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর, জয়পুরহাট (Joypurhat) জেলার ক্ষেতলাল থানার (Khetlal Police Station) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী (Hasmat Ali)কে গোপনে থানা ছাড়তে হয়েছে। পরে তাকে অফিসিয়ালি প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস. এম. কামাল।

২০১২ সালের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

ভিডিওতে দেখা যায়, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জয়পুরহাট শহরে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর (Delwar Hossain Sayeedi) মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে তৎকালীন এসআই হাসমত আলী ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন জেলা জামায়াতের তৎকালীন সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam)। এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হন শিবিরকর্মী বদিউজ্জামান।

থানায় যোগদানের ১২ দিন পরেই প্রত্যাহার

১৩ বছর পর, চলতি বছরের ১৩ জুন হাসমত আলী ক্ষেতলাল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সেই পুরনো ভিডিও ভাইরাল হলে পরদিন (বুধবার) সকালে তিনি গোপনে থানা ত্যাগ করেন। পরে থানার সরকারি ফোন বুঝিয়ে দিয়ে তিনি পুলিশ লাইনসে যান বলে জানান এস. এম. কামাল।

জামায়াতের প্রতিক্রিয়া

জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মণ্ডল (Maulana Golam Kibria Mondol) ও ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শামীম হোসেন মণ্ডল বলেন, “হাশমত আলী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছিলেন, সেই দিনের কথা আমরা ভুলতে পারি না। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি থানার দায়িত্ব থেকে সরে যান—এটা জনগণের প্রতিবাদের প্রতিফলন।”

প্রশাসনের নীরবতা

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (Superintendent of Police, Abdul Wahab) মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।