ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (13th National Parliamentary Election) সামনে রেখে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটের সব উপকরণ কেনাকাটা ও মুদ্রণ কার্যক্রম শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আগারগাঁও (Agargaon) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ (EC Secretary Akhtar Ahmed) এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রকিউরমেন্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এ বিষয়ে একটি টেন্ডারেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।”
কোন উপকরণ কেনা ও মুদ্রণের কাজ চলছে?
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি মুদ্রণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ব্যালট পেপার তৈরির কাজ নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার পর প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক নিশ্চিত হওয়ার পর শুরু হবে। কারণ প্রতিটি ব্যালটে প্রার্থী ও প্রতীকের নাম উল্লেখ থাকতে হয়।
দল নিবন্ধন ও প্রতীক সংখ্যা বাড়ছে
ইসি সচিব জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য এ পর্যন্ত ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে। তিন দলের একাধিক আবেদন থাকায় মোট ১৪৪টি দলের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এ আবেদনের প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য ২০ জন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “এবার নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।”
ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ
আখতার আহমেদ জানান, ভোটার তালিকায় নতুন অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা ও প্রক্রিয়া যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করবে কমিশন। এ বিষয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে (Law Ministry) পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ৭৬টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ চেয়ে আবেদন এসেছে, যেগুলো পর্যালোচনায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে আয়োজনের প্রস্তুতি
সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, “নির্বাচনী প্রস্তুতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।”