তারেক রহমান (Tarique Rahman) এখনো দেশে ফেরেননি, যদিও স্বৈরাচারী সরকারের পতনের আট মাস কেটে গেছে। বিএনপির (BNP) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তার দেশে না ফেরার বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন তুলেছে। দলটির নেতারা বলছেন, মূল কারণ হলো আইনি জটিলতা। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) ও দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান (Zubaida Rahman) ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান দেশে ফিরলেও তারেক রহমান আসছেন না।
আইনি জটিলতাই মূল কারণ?
বিএনপির নেতারা একবাক্যে বলছেন, তারেক রহমান আইনি প্রক্রিয়া মেনে দেশে ফিরতে চান। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (Amir Khasru Mahmud Chowdhury) বলেন, ‘আইনের শাসন ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না। শেখ হাসিনার মতো অর্ডার দিয়ে মামলা বাতিল করলেই হয় না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, তারেক রহমান সব মামলা সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করেই দেশে ফিরবেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ (Salauddin Ahmed), বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য, আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘তারেক রহমানও খুব শিগগিরই দেশে আসবেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি (Shahid Uddin Chowdhury Annie) বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কিছু মামলার রায় এখনো পেন্ডিং রয়েছে, দেশের ভেতরে ও বাইরে। এই কারণেই তিনি এখনো ফিরছেন না।’
ওয়ান-ইলেভেন মামলার রায়
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সবচেয়ে আলোচিত মামলা ছিল ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন (One-Eleven) সময়ে দায়ের করা দুর্নীতির মামলা। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত এই মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছরের ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর ডা. জুবাইদার দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (Barrister Kaiser Kamal), তারেক রহমানের আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক, বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি—খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ও ডা. জুবাইদা রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের মামলাগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি হবে।’