অধিকার আদায়ে তরুণদের যেন আর জীবন দিতে না হয়—রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনে ঐকমত্য কমিশনের অঙ্গীকার

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় এবার কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission)। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ (Vashani Followers Council) ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি (Bhasani Janashakti Party) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ (Professor Dr. Ali Riaz)।

তরুণদের জীবন নয়, কাঠামোগত পরিবর্তন চায় কমিশন

ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন আর অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে ও প্রাণ দিতে না হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। পরিবর্তনের সূচনা করতে হলে প্রয়োজন কাঠামোগত রূপান্তর—একটি এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা, যা আদর্শিক ও জবাবদিহিমূলক।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য পথরেখা হবে। যেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারবেন না বা ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ করতে পারবেন না।’’

বিভিন্ন দলের মতামত গ্রহণ ও অংশগ্রহণ

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক (Justice Md. Emdadul Haque), ড. বদিউল আলম মজুমদার (Dr. Badiul Alam Majumdar), ড. ইফতেখারুজ্জামান (Dr. Iftekharuzzaman), সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

এই আলোচনায় ভাসানী অনুসারী পরিষদ-এর চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (Sheikh Rafiqul Islam Bablu)-র নেতৃত্বে মহাসচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুল কাদের, পারভীন নাসের খান ভাসানী ও আমিনুল ইসলাম সেলিমসহ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে সুপারিশ পাঠানো

প্রথম পর্যায়ে গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত প্রদান করেছে এবং ২৭টি দল সরাসরি আলোচনায় অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে ভাসানী জনশক্তি পার্টি এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদ