খুলনা প্রেসক্লাব ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে খবর—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam) খুলনা প্রেসক্লাবে (Khulna Press Club) অবরুদ্ধ হয়েছেন দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারীর দ্বারা। তবে ঘটনা ভিন্ন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

ফেসবুক পোস্টে ঘটনার বিবরণ

শনিবার রাতেই ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শফিকুল আলম খুলনার ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, দিনব্যাপী সফরে তিনি খুলনায় ছিলেন এবং সঙ্গে ছিলেন প্রেস উইংয়ের আরও দুই সহকর্মী। তারা প্রথমে খুলনা ডিসি অফিসে (Khulna DC Office) এক সংবাদ সম্মেলন সম্পন্ন করেন, এরপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (Khulna University) পরিদর্শন করে যান খুলনা প্রেসক্লাবে।

প্রেসক্লাবে অবস্থানকালে, প্রেসক্লাবের কিছু কক্ষ ঘুরে দেখার সময় প্রায় ২০০ জন বিক্ষোভকারী একটি মিছিল নিয়ে সেখানে আসে। তারা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (Khulna Metropolitan Police Commissioner) জুলফিকার আলী হায়দারের (Zulfikar Ali Haider) পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।

শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও দাবি তুলে ধরা

প্রেস সচিব জানান, প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি নিচে নেমে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা ধৈর্য সহকারে তাদের বক্তব্য শুনেছি এবং তাদের বার্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।”

পরবর্তীতে তিনি জানান, তারা সেখানে চা-বিস্কুট খেয়ে প্রায় ৩০ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য

এদিকে আন্দোলনকারীরাও নিশ্চিত করেছেন যে, প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করা হয়নি। বরং তাদের দাবিদাওয়া জানাতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (Anti-Discrimination Student Movement) কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার (Khulna District) সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি (Sajidul Islam Bappy) সাংবাদিকদের জানান, “আমরা তাকে অবরুদ্ধ করিনি। তিনি আমাদের অতিথি। আমরা কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ও খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা তাকে জানিয়েছি, যাতে তিনি তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করতে পারেন।”

বাপ্পি আরও জানান, “প্রেস সচিব আমাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবহিত করবেন বলেছেন। আমরা এই সময় পর্যবেক্ষণ করব।”